
বান্দরবানঃ জেলারা আলীকদম উপজেলায় পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে উপজেলার ২নং চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপার পাড়া এলাকায় ইসলামীয় দারুল উলুম মাদ্রাসা চলমান নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অঝোর বৃষ্টিতে ময়লাযুক্ত নির্মাণ সামগ্রি দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় স্থানীয়দের বাধাঁর মুখে পড়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অনিয়মের এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় স্থানীয় মানুষের মাঝে। আর তখনই টনকনড়ে কর্তৃপক্ষের।
এমনকি অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ মফিজ আহমেদ বলেন, বৃষ্টি মধ্যে কাজ না করে কথা জানালে তারা কোন কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য অঞ্চলে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বরাদ্দের এই মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের কাজটি পান ঠিকাদার মেরি মার্মা। কাজটির শুরুতেই খুবই নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। আর এই নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে দ্রুত এই অনিয়ম ঢাকতে বর্ষার এই মুষলধারার বৃষ্টির মাঝেই চলছে নির্মাণ সামগ্রীর কাজ।
রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , তড়িঘড়ি করে নিন্মমানের ইট, সিমেন্ট এমনকি কাদা মিশ্রিত খুবই নিন্মমানের খোয়া ব্যবহার করে চলমান রয়েছে ভবন নির্মাণের কাজ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কাজের সময় জেলা পরিষদের কতৃপক্ষ উপস্থিত থাকার পরেও ঠিকাদার তার নিজের খেয়াল খুশি মতো কাজ করে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এ মাদ্রাসা ভবন যেভাবে খুবই নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই চলছে বেইজ ঢালাইয়ের কাজ তাতে ভবন নির্মাণ হলে যে কোন সময় তা ভেঙ্গে যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
- আলীকদমে তড়িঘড়ি করে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে চলছে ৬ কোটির কাজ
- আলীকদমে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
- আলীকদমের উন্নয়ন প্রকল্প গিলে খাচ্ছে আ’লীগ-বিএনপির ঠিকাদারি সিন্ডিকেট
- আলীকদমে ৬ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে শুরুতেই পুকুরচুরি
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মেরি মার্মার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা সংযোগ পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে ২নং চৈক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, হঠাৎ করে বৃষ্টি চলে আসলে একটা বিষয় থাকে। কিন্তুু সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে দেখেও ঠিকাদার কেন মাদ্রাসা ভবনের নিচের বেইজ ঢালাই দিচ্ছে আমারও প্রশ্ন রয়েছে। এবিষয়ে কতৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হওয়া জরুরী কারণ নিচে ঠিকঠাক কাজ না হলে ঝুঁকি নিয়ে থাকবে ভবনটি।
এ বিষয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বাবু দুংড়িমং মার্মা বলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের কোনো কাজে অনিয়ম দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে এবং এবিষয়ে জেলা পরিষদের কতৃপক্ষ কে জানানো হবে বলেন তিনি।
- আরও পড়ুনঃ থানচিতে অনুমোদনহীন জ্বালানি তেলের দোকানে ছয়লাব
- আরও পড়ুনঃ লামার রূপসীপাড়া ইউনিয়নে চলছে রমরমা জন্মসনদ বাণিজ্য!
- আরও পড়ুনঃ লামা বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
- আরও পড়ুনঃ সন্তানসহ ২য় স্ত্রীকে অস্বীকৃতি লামার ইউপি সচিবের
- আরও পড়ুনঃ সকল অপকর্মের হোতা লামার রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মারমা
- আরও পড়ুনঃ বান্দরবানের লামাসহ তিন উপজেলার উপহারের ঘরে অনিয়ম
- আরও পড়ুনঃ থানচিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে অনিয়ম
আমাদের বাণী/১৯/৬/২০২২/বিকম
Leave a Reply