থানচিতে অনুমোদনহীন জ্বালানি তেলের দোকানে ছয়লাব

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও বলিপাড়া ইউনিয়নে বেপরোয়া ভাবে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন অবৈধ বিভিন্ন তেল ও গ্যাসের সিলিন্ডারের দোকান।প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ব্যতীত এসব দোকান এ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন জনগণ ও অনান্য ব্যবসায়ীরা।

দুইটি ইউনিয়ন মিলে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক জ্বালানি তৈল ও গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ দোকান।

সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যবসায়ীর এলপি গ্যাস ও পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির কোনো অনুমোদন নেই। এতে করে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী ও মালিকরা। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানেন না এলপি গ্যাস ব্যবহারের নিয়ম-কানুন। এ ছাড়া কোনো দোকানেই নেই অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার। দুর্ঘটনা ঘটলে দোকানিদের জানা নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। এমনকি অধিক মুনাফার আশায় নিম্নমানের রেগুলেটর, গ্যাস সরবরাহ পাইপ এবং অনুমোদনহীন বিভিন্ন কোম্পানির ঝুঁকিপূর্ণ চুলা বিক্রির হিড়িক পড়েছে উপজেলার সর্বত্র।

সুত্র জানায়,এত বিপুল সংখ্যক জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দোকানে কেবল মাত্র একটি দোকানে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে আরেকটির কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন।বাকী দোকান গুলোর কোনো বৈধ কাগজ পত্র নেই।

আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে জ্বালানি আইন অমান্য করলে যে কোনো ব্যবসায়ীর নূ্ন্যতম দুই বছর থেকে অনধিক পাঁচ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য আধাপাকা ঘর, ফ্লোর পাকা, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ম্ফোরক লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হবেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী এই প্রতিবেদক কে জানান,খুব শীঘ্রই অবৈধ জ্বালানি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.