
দ্রুতযান এক্সপ্রেস রাত ৮টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি কমলাপুরেই পৌঁছায় ৯.২০ মিনিটে। এরপর ওয়াশ করে ৯.৫০ মিনিটে পঞ্চগড় অভিমুখে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে।
শুধু দ্রুতযানই নয়, উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী প্রায় সব ট্রেনে দেখা দিয়েছে শিডিউল বিপর্যয়। কোনোটা দুই ঘণ্টা আবার কোনোটা তিন ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। ঈদে যাত্রীদের অধিক চাপে এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন) মো. হাসান মনসুর জানান, সিঙ্গেল লেন ও পুরোপুরি ব্রডগেজ লাইন না থাকায় উত্তরাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, উত্তরাঅঞ্চলে এমনিতেই লাইনের সক্ষমতার চেয়েও বেশি ট্রেন চলাচল করছে। যেসব ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। যাত্রী অনুযায়ী ঢাকা-পঞ্চগড়, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-কুড়িগ্রাম, ঢাকা- লালমনিরহাট রুটে আরও একটি করে ট্রেন চলাচল করলে ভোগান্তি কমবে। ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে যাত্রাপথে ভোগান্তির শিকার হতে হবে না এসব এলাকার যাত্রীদের।
উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রেলের উন্নয়নের জন্য কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলে ডাবল লাইন নির্মাণ ও মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের বিষয়টিও রয়েছে। এসব কাজ প্রক্রিয়াধীন। এই প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার শিডিউল বিপর্যয় প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি। তবুও ঈদযাত্রায় বিভিন্ন কারণে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। শিডিউল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে সিঙ্গেল লেন। এতে ক্রসিংয়ে পড়ছে ট্রেনগুলো। এখানেই অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। আবার যমুনা সেতু পারাপারের আগে ট্রেন চেকিং করা হয়। সেখানেও কিছু সময় নষ্ট হয়।
এই কর্মকর্তা বলেন, সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হয়। সবকিছু মিলেই শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। আমরা শিডিউল বিপর্যয় কমানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply