
আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড এড়াতে ২৩ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন আব্দুস সাত্তার। রাজশাহী ছেড়ে দেশান্তরী হয়ে স্থায়ী আবাস গড়েছিলেন ভারতে। এরপরও শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে তাকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হলো।
রাজশাহীর তানোর থানা পুলিশ শুক্রবার (৬ মে) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঘুঘুডিমা গ্রাম থেকে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে। এখন তার বয়স ৬০ বছর।
আব্দুস সাত্তার তানোর উপজেলার বিল্লি গ্রামের মো. গরিবুল্লাহর ছেলে। এক সময় ডাকাত হিসেবে কুখ্যাতি ছিল তার। ১৯৯৯ সালের ৯ মার্চ এক ডাকাতির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা হওয়ার পরপরই তিনি ভারতের মুর্শিদাবাদে চলে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, ডাকাতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামির অনুপস্থিতিতেই আব্দুস সাত্তারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। কিন্তু আসামিকে আর পাওয়া যায়নি। তিনি ভারতে গিয়ে স্থায়ী হন।
কয়েকদিন আগে আব্দুস সাত্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তানোর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার (৭ মে) আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।
Leave a Reply