
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন এক নারী। সোমবার রাতে পৌর এলাকার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর থানার এসআই ফুরকান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত ওই ব্যক্তির বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে। শ্রীপুরের ওই বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। প্রেম করে শ্রীপুর উপজেলার ওই নারীকে পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। এটি উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
বাড়ির মালিক আমান উল্লাহ জানান, ১ মে ওই দম্পতি তার বাড়ির টিনসেড ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। গতকাল রাতে স্ত্রী ঘুমন্ত স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ এসে তাদের ডেকে ঘরের দরজা ভেঙে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওই নারী জানান, তার প্রথম স্বামীর সংসারে দুটি ছেলে রয়েছে। পরে প্রেম করে ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। কিন্তু তার স্বামী এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে তাদের সংসারে কয়েকদিন যাবত কলহ চলছিল। সোমবার রাত ৯টার দিকে স্বামী বাসায় এলে তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো দুধ খেতে দেন তিনি। তা খেয়েই স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তিনি স্বামীর যৌনাঙ্গ কাটেন।
শ্রীপুর থানার এসআই মো. মিজান জানান, ওই নারী থানায় আসার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে, অভিযুক্ত নারী বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকেও মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানিয়েছেন ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply