গভীর রাতে অধ্যক্ষের বাসায় গুলিবর্ষণ

পটুয়াখালীর বাউফলে গভীর রাতে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকুর বাসায় হামলা, ভাংচুর ও গুলি বর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রাত দেড়টার দিকে কেশবপুর কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন সালেহ উদ্দিন পিকু। রোববার রাত দেড়টার দিকে ওই বাসায় হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। বাসার দরজা ও জানালা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। লোহার দরজায় একাধিক কোপের দাগ পড়ে আছে।

হামলা নির্বিঘ্ন করতে বাসার সামনে জ্বালানো বৈদ্যুতিক বাতি নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে তারা। অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী সন্তানের আর্তচিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

সালেহ উদ্দিন পিকুর ছেলে আলিফ বলেন, রাতে মুভি দেখছিলাম। আনুমানিক দেড়টার দিকে গুলির শব্দ শুনতে পাই। বাসার পিছন ও সামনের দিকে হামলা করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সালেহ উদ্দিন পিকু আরও বলেন, পুলিশের গাফিলতির কারণে ২০২০ সালের ২ আগস্ট আমার দুই ভাই খুন হয়েছে। খুনিরা জামিনে মুক্ত হয়ে একের পর এক হামলা ও হুমকি দিয়ে আসছে। পুলিশ খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা বা গাফলতির বিষয়টি সত্য না। জোড়া খুন মামলা পিবিআই মামলা তদন্ত করছে। আসামিরা জামিনে আছেন। এখানে থানা পুলিশের কিছু করার নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.