দশ বছরের সাজা নিয়ে দেশ ছাড়লেন হাজী সেলিম

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছরের সাজা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি হাজী সেলিম। কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান সেলিম। সোমবার হজী সেলিমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হাজী সেলিম তিনটি গাড়ির একটি বহর নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে কবর জিয়ারত শেষে যান বিমানবন্দরে। তবে এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিলেন না। এছাড়া গাড়ির চালকেরও আগে থেকে জানতো না তারা কোথায় যাচ্ছেন বলেও জানায় ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র।

সূত্রটি জানায়, হাজী সেলিম চিকিৎসার কথা বলে ব্যাংকক গিয়েছেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ঘনিষ্ঠ কেউই যাননি। তার যাওয়ার আগে বা পরে ঘনিষ্ঠ কেউ ব্যাংকক গিয়ে থাকতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে হাজী সেলিমের বড় ছেলে সোলাইমান সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমের ১০ বছর সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেরিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়সীমার মধ্যেই দেশ ছেড়লেন তিনি।

দুর্নীতির মামলায় এক যুগ আগে বিচারিক আদালতের রায়ে হাজী সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাজী সেলিম হাইকোর্টে আপিল করেন। এই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, সাজাপাপ্ত আসামি হওয়ায় হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদে আর নেই বলে আমি মনে করি। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে যেতে পারেন না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারণেই বিদেশ যেতে পারেননি। হাজী সেলিমেরও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.