ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছে মানুষ

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। কেউ ট্রেনে করে কেউ বা বাসে অথবা লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছেন। সবখানেই ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করেও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কেউ স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছেন। আবার কেউ কেউ রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমেও মোটরসাইকেলে করে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছেন। একসঙ্গে তিনটা ব্যাগ নিয়ে বাইকে চেপে অনেককে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটে সকাল থেকেই প্রতিটি ফেরিতে শুধু মোটরসাইকেল আর মোটরসাইকেল দেখা গেছে। কোনো ফেরিতেই দূরপাল্লার কোনো পরিবহন চোখে পড়েনি। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে অনেক। প্রতিটি মোটরসাইকেলেই একজন করে সহযাত্রী রয়েছে। কোনো কোনো মোটরসাইকেলে আবার নারী ও শিশু রয়েছে। প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়েই ফিরছেন তারা।

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঝুঁকি হচ্ছে জেনেও তারা মোটরসাইকেলে করে রওয়ানা হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে কয়েকজন মোটরসাইকেল যাত্রী বলেন, মোটরসাইকেলে করে লং জার্নি করা উচিত না, এটা আমরা জানি। তারপরও আমরা এতে করেই গ্রামে ফিরছি। কারণ বছরের একটি ঈদ। গ্রামের সবার সাথে যদি ঈদ করতে না পারি তাহলে কেমন হবে বলেন।

এদিকে মহাসড়কের শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সড়কে যাতে কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য তারা সতর্ক রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা বলেন, মোটরসাইকেলে তিনজন করা চলাফেরা করা অবৈধ। কিন্তু আপনারা দেখছেন যারা ঈদে ঘরে ফিরছে তাদের বেশির ভাগের মোটরসাইকেলেই পুরো পরিবার নিয়ে যাতায়াত করছেন। এখন আমরা কি করবো? মানবিক দিকটা বিবেচনা করেই আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কাজ করছি। আশা করছি, সবাই একটু সহযোগিতা করলে এবং ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলছে সড়কে কোনো দুর্ঘটনা হবে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.