
দক্ষিণ ইউক্রেনের পাশাপাশি পূর্ব দনবাস অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যে রাশিয়া কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন কমান্ডার। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে মেজর জেনারেল রুস্তম মিনেকায়েভকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়াতে একটি স্থল সেতু তৈরি করার অনুমতিও দেবে মস্কো।
মিনেকায়েভের মন্তব্য ক্রেমলিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে ইন্টারফ্যাক্স এবং তাস নিউজ এজেন্সিসহ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও তাকে উদ্ধৃত করে খবর প্রচার করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বিবিসির স্টিভ রোজেনবার্গকে বলেছেন, তারা জেনারেল রুস্তমের মন্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখছেন। তার কথাগুলো সঠিক হলে আগামী সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনাগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়া আগামী দিনগুলোতে পূর্ব ইউক্রেনে এবং দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ জোরদার করতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, সামনের দুই সপ্তাহ যুদ্ধের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে।
এদিকে, রুশ কমান্ডারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মলদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে দেশটিতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে।
দেশটি বলছে, মলদোভা একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এ নীতির প্রতি ‘অবশ্যই রুশ ফেডারেশনসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোকে সম্মান দেখাতে হবে’।
এর আগে রাশিয়ার জেষ্ঠ্য কমান্ডার মেজর জেনারেল রুস্তম মিনেকায়েভ বলেন, ‘ইউক্রেনের দনবাস ও দক্ষিণাঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চাই আমরা। এর মাধ্যমে ক্রিমিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হবে, যা ২০১৪ সালে দখল করা হয়েছিল। ’
এ লক্ষ্যে সফল হলে এর মাধ্যমে মলদোভায় রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে প্রবেশাধিকার পেয়ে যাবে মস্কো। আর এ কারণেই মূলত উদ্বিগ্ন মলদোভা।
Leave a Reply