দুই প্রেমিকাকেই বিয়ে করে আলোচনায় রনি

দুই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি (২৫)। ইতি রানীর সঙ্গে তিন বছর আর মমতা রানীর সঙ্গে পাঁচ মাসের সম্পর্ক তার। ইতিকে না পারছেন বিদায় জানাতে আর মমতার মমতাকে না পারছেন ভুলতে। তাই দুটি সম্পর্কই চালিয়ে গেছেন দিব্যি।

বিষয় জানাজানি হলে চাপে পড়ে মঙ্গলবার রাতে দুই প্রেমিকাকেই একসঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য হন রনি।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিনী চন্দ্র রনির সঙ্গে উত্তর বলরামপুর এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর প্রেমের সম্পর্ক তিন বছর ধরে। প্রায় ছয় মাস আগে একটি মন্দিরে গিয়ে গোপনে ইতিকে বিয়ে করেন এই তরুণ। এর পাশাপাশি উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনো কিশোরের মেয়ে মমতার সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার পরিবারের লোকজন রনিকে আটক করে রাখে। পরদিন ওই পরিবার তাদের বিয়ে দেয়। এ খবর শুনে ১৩ এপ্রিল সকাল থেকে প্রথম প্রেমিকা ইতি রনির বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। দুই দিন পর মমতাসহ রনিকে তার বাড়িতে দিয়ে আসে মমতার পরিবারের লোকজন। এদিকে ইতির অনশন চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে রনির পরিবার বাধ্য হয়ে দুই প্রেমিকার সঙ্গেই রনির বিয়ে সম্পন্ন করে।

নানা নাটকীয়তার পরে এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় তিন পরিবারই খুশি। খুশি রনি ও তার দুই প্রেমিকা ইতি ও মমতাও। বুধবার দুই বধূর সাথে বরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। আবারও ট্রল করছেন এই ছবি দিয়ে।

এ বিষয়ে রনির নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে কারো কোনো আপত্তি নেই। তাই আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। আমরা দুই মেয়েকেই মেনে নিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দিয়েছি। ‘

ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, ‘আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। রোহিনীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়েতে আমরা তিন পরিবারের লোকজনই ছিলাম। ‘

বলরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওই দুই মেয়েকে নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল। পরে শুনেছি তারা দুই মেয়েকেই একসঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে দিয়েছে। ‘

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.