
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে সোনালি ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে যে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটিকে শিল্প ঘোষণা করে এর উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’
হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল ও চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও ফিল্মসিটি নির্মাণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রমজানের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এ বছর দিবসটি অনাড়ম্বরভাবে এফডিসিতে পালিত হচ্ছে। চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে আসছে, শিল্পটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ’আমাদের চলচ্চিত্র আবার স্বর্ণালি দিন পাবে এবং বিশ্ব অঙ্গনে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে’, আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদসহ ট্রাস্টের সদস্যবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সাথে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকরা এ সময় বিএনপির মোর্চা গঠন নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরনের মোর্চা তারা ২০১৮ সালের আগেও করেছিল। বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান-তালেবান সবাইকে নিয়ে তারা মোর্চা করেছিল, নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিল। সেই মোর্চার মাধ্যমে ফলাফল মাত্র পাঁচটি আসন। এবারও তারা মোর্চা করার চেষ্টা করছে, প্রেসিডেন্ট আছে তো সেক্রেটারি নাই, দুইজন নিয়ে দল। সেগুলো নিয়ে তারা মোর্চা করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টার মধ্যে থাকতে পারে, তবে এই চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না। ’
‘বিএনপি আসলে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না তো, খড়কুটো আঁকড়ে ধরে তারা তাদের রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রাখতে চায়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা পুরুষ হয়ে বোরকা পরে হাইকোর্টে গিয়ে জামিন চায়, তারা যখন সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে তখন মানুষও হাসে, বানরও হাসে। তাদের এই খালি কলসি বেশি বাজার মতো কথা আমরা বহুদিন ধরে শুনে আসছি। ’
Leave a Reply