অধ্যক্ষ জসিম রাতারাতি পেয়ে গেছেন পিএইচডি ডিগ্রি

বিশ্ববিদ্যালয় নেই, থিসিস নেই, নেই সুপারভাইজার শিক্ষক, তারপরও রাতারাতি পেয়ে গেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। তিনি ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহমদ।

তার সঙ্গে ভার্চুয়াল ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন একই কলেজের আরও দুই শিক্ষক তৌফিক আজিজ ও তরুণ গাঙ্গুলী। তিন শিক্ষকের বায়বীয় ডক্টরেট হবার এই ঘটনার অনুসন্ধান করছে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল।

ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল কলেজ। ২০১৭ সালে কলেজটির অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেন জসিম উদ্দিন আহমেদ।

করোনায় যখন সবকিছু বন্ধ, তখনই জানা গেলো জসিম উদ্দিন ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়ে ডক্টর জসিম উদ্দিন বনে গেছেন।

কোথায় কিভাবে তিনি পিএইচডি’র মতো একটি কঠিন কোর্স শেষ করলেন- এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যান জসিম উদ্দিন।

তার দাবি, তিনি অনলাইনে আমেরিকান ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। যেখানে তার সুপারভাইজার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক।

সুপারভাইজার হিসাবে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম নাম বলেছেন। অথচ এই অধ্যাপক বলছেন জসিম উদ্দিন নামে তার কোন পিএইচডির শিক্ষার্থীই ছিলো না।

জসিম উদ্দিনের মতো অভিনব এই ভার্চুয়াল ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন একই কলেজের ডক্টর তৌফিক আজিজ চৌধুরী এবং ডক্টর তরুণ গাঙ্গুলী।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সুপারভাইজার হিসাবে উল্লেখ করা আবুল হোসেন নামে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে কোন শিক্ষকের অস্তিত্বই নেই।

হঠাৎ পিএইচডিধারীর আরেকজন একই কলেজের আরেক শিক্ষক ড. তৌফিক আজিজ চৌধুরী। তিনিও অধ্যক্ষের সঙ্গে ড. জাহিদুল ইসলামের অধীনে পিএইচডির করার দাবি করছেন।

যদিও আইডিয়াল কলেজের কোনো শিক্ষকই, কখনও তার শিক্ষার্থী ছিলো না বলে পাল্টা দাবি করেছেন ড. জাহিদুল ইসলাম।

শিক্ষাগত ডিগ্রী অর্জনেই কেবল জালিয়াতি নয়, আইডিয়াল কলেজের পিএইচডিধারী অধ্যক্ষসহ এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.