টিসিবির কার্ড নিয়ে এক ভাগ দুর্নীতিও ছাড় দেওয়া হবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

টিসিবি পণ্য

ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি সারাদেশে যে ফ্যামিলি কার্ড দিচ্ছে, তাতে এক ভাগ দুর্নীতিও ছাড় দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ‘টিসিবির পারিবারিক কার্ড নিয়ে এক ভাগ দুর্নীতিও ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতির অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শতকরা নিরানব্বই ভাগ স্বচ্ছতার সাথে কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেয়া হচ্ছে। এক কোটি প্রকৃত অস্বচ্ছল মানুষ স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটরিয়ামে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মেট্রোপলিটন কমিউনিটি পুলিশিং আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২০ মার্চ থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে সারাদেশে নিত্যপণ্য বিতরণ করছে টিসিবি। ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী এক কোটি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। একজন কার্ডধারী রোজার আগে এবং রোজার মধ্যে দুই দফা পণ্য পাবেন। প্রথম কিস্তির পণ্য বিতরণ শুরু হয়েছে ২০ মার্চ থেকে। দ্বিতীয় কিস্তির পণ্য দেওয়া হচ্ছে রোজার মাঝামাঝি সময়ে।

টিসিব কার্ড বিতরণে দলীয় পরিচয় বিবেচনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে নানা মহল থেকে। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যে দেশে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর নামে টিসিবির কার্ড হয়, সে দেশে গরীবদের নিয়ে কি ধরনের উপহাস করা হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। রোল মডেলের এ দেশে এ কিসের আলামত?’

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠায় সরকার দোষারোপ করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের, যারা পণ্য মজুদ করে ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন মন্ত্রীরা।

বাণিজ্যমন্ত্রী আসন্ন রমজান মাসে পণ্য মজুদে বিরত থাকার আহ্বান জানালেন দেশবাসীকে।

তিনি বলেন, ‘রমজানকে ঘিরে হুড়োহুড়ি করে জনসাধারণকে এক মাসের বাজার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি করা হলে বাজারে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে। এতে করে কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ী এর ফায়দা নিতে পারে।’

টিপু মুনশি জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভোক্তা অধিকার থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করছে। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামেই বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ট্যারিফ, ভ্যাট কমিয়ে দেওয়ার কারণে বর্তমানে ১৬৮ থেকে ১৬৫ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.