
দেখতে ছোট হলেও লোকমুখে প্রচলিত বাজারের সবচেয়ে বড় মুদি দোকান। বাস্তবেও তাই। লোকজন তেল কিনতে গেলে নেই বলে প্রায়ই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বেশি দাম দিলে মেলে তেল। আর বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম একটু কম। তবে বিক্রি করা হচ্ছে সমান দামে। তাই তেল মজুত করে লুকিয়ে রেখেছেন কবুতরের ফার্মে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের রামনগর বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে সেখানে চালানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। মেলে তেল মজুতের খবরের সত্যতা। এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে এই অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে দুই ব্যবসায়ীর গোডাউনে বিপুল পরিমাণ খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
এ সময় কবুতরের ফার্মে লুকিয়ে রাখা বিধান শাহ নামে এক ব্যবসায়ীর ২ হাজার ৫০০ লিটার তেল পাওয়া যায়। পাশেই জিন্দার আলী নামে আরও এক ছোট দোকানির তালাবদ্ধ গোডাউনে মেলে ২ হাজার ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল। অবৈধভাবে তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে ব্যবসায়ী জিন্দার আলীকে ৫০ হাজার টাকা এবং বিধান শাহকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মুচলেকা।
এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ বলেন, দোকানিরা অবৈধভাবে তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। খবর পেয়ে দোকানে কোনো তেল না পেয়ে পরে একজনের কবুতরের ফার্মে এবং অন্যজনের দোকানের পেছনে লুকিয়ে রাখা গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে ৫ হাজার লিটারের বেশি খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের একজনকে ৫০ হাজার এবং অন্যজনকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Leave a Reply