
যৌতুকের দাবিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী ও তৃতীয় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার তালতলী উপজেলায়। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেছিলেন বলে পরিবার থেকে জানা যায়। আসামিরা হলেন- তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. শাফায়াতুল্লাহ ও তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী সাদিয়া।
মামলায় খাদিজা অভিযোগ করেন, স্বামী শাফায়াতুল্লাহ দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না পেয়ে তৃতীয় স্ত্রী সাদিয়ার সহায়তায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
খাদিজা বলেন, ‘আমার স্বামী শাফায়াতুল্লাহ আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী যৌতুক দিতে না পারায় নির্যাতন করে তাকে তাড়িয়ে দেন। আমাকে বিয়ে করার পর সাদিয়াকে বিয়ে করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাফায়াতুল্লাহ যৌতুক লোভী ও বিয়ে পাগল। বারবার বিয়ে করে শুধু যৌতুকের লোভে। তার মতো পুরুষের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।’
দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছে তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীর যৌতুক চাওয়ার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জহিরুল হক নান্না। তারা আদালতে জামিনের আবেদন করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এরা বিয়েপাগল শ্রেণির পুরুষ। এদের সমুচিত শিক্ষা হওয়া দরকার ছিল।’
Leave a Reply