
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এখনও বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের অনুপ্রেরণা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সাতই মার্চ দিবস উপলক্ষে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই বক্তৃতা কেবল বাঙালির স্বাধীনতার শক্তি নয়, অন্যান্য স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তৃতা।”
সুদীর্ঘ আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তৎকালীন রেস কোর্সের (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস মাত্র ২৩ মিনিটে তুলে ধরে একাত্তরের সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমরা যখন মরতে শিখেছি; কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।
“রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
২০১৭ সালে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’যুক্ত হয় জাতির পিতার ঐতিহাসিক সেই ভাষণ।
এই স্বীকৃতির ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সারমর্ম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশেষ করে জাতিসংঘের যতটি ভাষা, সবগুলোতে আমরা ইতোমধ্যে এটা লিপিবদ্ধ করেছি, অনুবাদ করেছি।”
রেসকোর্সে উপস্থিত থেকে সেই বক্তৃতা শোনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মোমেন বলেন, ”আমরা সেখানে যারা ছিলাম, তাদের দ্বিতীয় কারও বক্তব্য শোনার দরকার ছিল না।”
তিনি বলেন, “১৮ মিনিটের বক্তৃতার প্রতিটি শব্দই ঐন্দ্রজালিক। আর আমরা যারা আকলমান্দ, তারা বুঝে গিয়েছিলাম, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়ে গেছে। সেজন্য এই দিনটি ঐতিহাসিক।”
দিনটিকে ‘আনন্দের দিন’ অভিহিত করে মোমেন বলেন, “বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও বাঙালি রুখে দাঁড়াতে পারে, তার প্রমাণ এটা। আমরা বিজয়ের জাতি, আমরা অর্জন করতে পারি, কারও চোখ রাঙানিতে আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নই।”
এ সময় অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply