বিপিটিএ থেকে মোঃ আবুল কাশেমকে অব্যাহতি

সরকার বিরোধী ও পেশা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ( কাশেম – শাহীন) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ,ফুলপুর, ময়মনসিংহকে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতির স্বাক্ষরে গতকাল শনিবার সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্ত কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি সরকার পরিচালনাকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচারণকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সমিতির সভাপতি পদ ব্যবহার করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪ খ্রিঃ নিয়োগ বঞ্চিত ” প্যানেল নিয়োগ চাই ” আন্দোলনের শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীদের চাকুরির নিশ্চয়তা দিয়ে মন্ত্রনালয়ের নাম ভাঙিয়ে ৩ কোটি টাকা আদায় করেছেন মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করে বলা হয়েছে বিগত সময়ে সাংগঠনিক কাজে রংপুর বিভাগে অভিযুক্ত আবুল কাশেম কে সহ সমিতির কয়েকজন নেতৃবৃন্দকে রংপুর মহানগরে হোটেল আটকিয়ে রাখে। সেখান থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পায়। একই ভাবে বরিশাল বিভাগের গলাচিপা উপজেলায়ও হেনস্তার স্বীকার হয় যার প্রেক্ষিতে সমিতির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিল পদ – পদবিতে না থাকার পরেও তার দূর্নীতি সংশ্লিষ্ট কাজে সমর্থন যোগানোর জন্যে অর্থের বিনিময়ে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে ভূয়া পদ প্রদান ও সংগঠনের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিজের মত করে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির মাধ্যমে ঘষামাজার আশ্রয়ে অবৈধভাবে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করার অপপ্রয়াস করেছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মহান ভাষা দিবসসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে তার ছবি ব্যবহার করে পেস্টুন / পোস্টার পোস্ট করণের মাধ্যমে জাতির বীর সেনানিসহ জাতীয় নেতৃত্বের সম্মানহানি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবুল কাশেমের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে বিগত সময়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মত ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের আগেরকার সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা এবং বিগত ২০১৬ -২০২০ সময়ের নির্বাহী সভাপতি মোঃ রেজার মাধ্যমে সে সময়ের সভাপতি মো আতিকুর রহমান আতিককে সমিতি থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সমিতিকে জাতির কাছে বারবার প্রশ্নবানে জর্জরিত করে চলেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের মাধ্যমে প্রতীয়মান হচ্ছে অভিযুক্ত আবুল কাশেমের দূর্নীতি পরায়ণতা ও সরকার বিরোধীতামূলক সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে গোটা প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ লজ্জিত। যার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ প্রিন্ট মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাকে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.