‘আমি কেন পালাব?’ প্রশ্ন সুবাহর

মডেল ও অভিনয়শিল্পী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন কণ্ঠশিল্পী ও তার স্বামী ইলিয়াস হোসাইন। মামলার পর সুবাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও নাকি তাঁকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। মামলার পর থেকে এই নায়িকা মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে খবর এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

তবে সুবাহকে হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেল সহজেই।

আপনাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? এমন প্রশ্ন করতেই সুবাহ জানালেন, তিনি বাসাতেই আছেন। উল্টো প্রশ্ন করলেন, ‘আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না কেন?’

সুবাহ বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না এটা হতেই পারে না। তাছাড়া আমি পালাবই বা কেন? ২ মার্চ আমি আদালতে গিয়েছি। পালিয়ে গেলে কি আদালতে যেতাম? আমি ভুক্তভোগী তাই মামলা করেছি। আমি ন্যায় বিচার চাই। এখন আমার বিরুদ্ধেও যদি কেউ মামলা করে আইনগতভাবেই আমি সেটা মোকাবেলা করব। ’

১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা ও সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন। বিয়ের সময় তোলা ছবিতে দুজন।

তাঁর বিরুদ্ধে মামলার কোনো সমনই পাননি দাবি করে সুবাহ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিন্তু আমার বাসার ঠিকানায় তো মামলার সমন আসবে, আমার তো একটা ঠিকানা আছে। সেই ঠিকানায় কোনো সমন আসেনি। সমন এলে সে অনুযায়ী যা করার আমি করব। ’

ফোন বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে সুবাহ বলেন, ‘আমার ফোন তো আমি নানা কারণেই বন্ধ রাখতে পারি। কিন্তু আমাকে যাদের প্রয়োজন বা যাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ করতে হবে তাদের সঙ্গে তো যোগাযোগ হচ্ছে। এই যে আপনি প্রয়োজনে ফোন দিয়েছেন আপনি কি আমাকে পাননি? আমার ফোনে নানারকম হুমকি ও মেসেজ আসছে, এসব কারণেই আমি ফোন বন্ধ রেখেছি। ’

জানা গেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি নায়িকা সুবাহর স্বামী ইলিয়াস হোসাইন হাতিরঝিল থানায় অভিনেত্রীর নামে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সুবাহ গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফেসবুকে ইলিয়াসকে নিয়ে মানহানিকর নানা মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও করেছেন। এসব কারণেই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ইলিয়াস।

মামলার এজাহারে ইলিয়াস উল্লেখ করেছেন, ‘বিভিন্ন সময়ে সুবাহ তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। ’ গত বছর ১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা ও সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.