
ঢাকাঃ পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্ত থেকে শহরের ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন গত সেপ্টেম্বরে প্রায় ১০৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু করেছে। ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকার এ প্রকল্প ২০২৪ সালের জুন মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুনে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা। মাওয়া প্রান্ত থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা প্রান্তে মিলিত হয়েছে। আর নাওডোবা থেকে পদ্ম সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক দিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। তবে নাওডোবা থেকে শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য প্রশস্ত সড়ক নেই। তাই এই রুটে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য আধা সরকারি চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) দেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ উপমন্ত্রী), যা গত বছর একনেকে অনুমোদন পায়। এর পর চার লেনের সড়ক নির্মাণের জন্য ১০৫ দশমিক ৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এরই মধ্যে সড়ক বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিশোধ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে ১১০ কোটি টাকা দিয়েছে। একটি প্যাকেজে প্রকল্পে দুই লেনের ৩৪ ফুট প্রশস্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেছে সওজ। আরেকটি প্যাকেজে প্রকল্পে সড়কের দুটি সেতুর নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে।
শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, তিনটি প্যাকেজে (গুচ্ছ প্রকল্পে) পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে সড়কটি হবে দুই লেনের। তবে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে চার লেনের জন্য। কারণ, পরবর্তী সময়ে আরও দুই লেন বাড়ানো হবে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা যাবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, জুনে পদ্মা সেতু চালু করা হবে। তার আগেই যাতে শরীয়তপুর জেলা শহরের সঙ্গে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়, সেই লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
আমাদের বাণী/১৩/০২/২০২২/এসওকে
Leave a Reply