
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে খুলনা করে মাত্র ১২৯ রান। অল্প পুঁজি নিয়েও নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া, খালেদদের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার কঠিন পরীক্ষা নেয় খুলনা। কিন্তু, শুভাগতর দুই ছক্কায় জিতে যায় ঢাকা।
১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল(৬) ও ইমরানুজ্জামান(৬)। তৃতীয় উইকেটে এক গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জহুরুল ইসলাম অমি। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় জহুরুল সাজঘরে ফেরেন ৩০ রান করে।
এরপর শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে এগিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু, জয়ের জন্য ২৫ রান বাকি থাকতে আউট হয়ে যান দুজনই। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৪ রান, শামসুর শুভর ১৪ বলে ২৫ রান। শেষ ৪ ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল ঢাকার। আন্দ্রে ফ্লেচারের ১৭তম ওভার থেকে আসে মাত্র ৫ রান।
থিসারার করা ১৮তম ওভারে ৯ রান করে ঢাকা। এই ওভারে শর্ট থার্ড ম্যানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ ছাড়েন খালেদ। অবশ্য, পরের ওভারে বোলিং করতে এসে মাত্র ৪ রান খরচ করে ম্যাচের পাল্লা ফের খুলনার দিকে আনেন এ ডানহাতি পেসার। শেষ দুই ওভারে যেখানে বাকি ছিলো ১৫ রান, শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ঢাকার লাগতো ১১ রান। শেষ ওভারে পরপর দুই ছক্কা মেরে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটান শুভাগত। ঢাকার হয়ে জিতে যান ম্যাচটি। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৮ রান করে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে খুলনা আরও কমেই গুটিয়ে যেতে পারতো। লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা তা হতে দেননি। তার ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসের কল্যাণেই ঢাকাকে ১৩০ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে খুলনা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা। ইনিংসের ৩.৩ ওভারে মাত্র ১২ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান চার ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার (৬), সৌম্য সরকার (১), জাকের আলি (৫) ও ইয়াসির আলি।
এরপর পাওয়ার প্লে শেষে সপ্তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১২ রান। দলীয় সংগ্রহ ৫০ পার করিয়ে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন শেখ মেহেদি হাসান। মাত্র ৫৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন চাপে খুলনা। সেখান থেকে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করেন সিকান্দার রাজা। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৫০ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। এছাড়া, ১২ রান আসে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে।
ঢাকার পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া রুবেল হোসেন ও ফজলহক ফারুকির শিকার ১টি করে উইকেট।
Leave a Reply