
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ট্রলার ও তার ৯ যাত্রীর সন্ধান দুদিনেও পায়নি ডুবুরিরা। আর নদীর উভয় তীরে নিখোঁজের আত্মীয়স্বজনরা অপেক্ষায় বসে আছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এমভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বুড়িগঙ্গার শেষ ধলেশ্বরীর শুরু দুর্ঘটনার স্থানটি। এখানে নদীর গভীরতা প্রায় ৮০ ফুট। বড় বড় লঞ্চ, বাল্কহেড চলাচলে এ নদীতে স্রোত তৈরি হয়। যে স্থানটিতে ট্রলারটি ডুবেছে সে স্থানসহ তার আশপাশে প্রায় এক কিলোমিটার নদীতে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সন্ধান চালিয়েছে। এর মধ্যে ট্রলার বা ডুবে থাকা কোনো মানুষের সন্ধান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়ও পাওয়া যায়নি। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। যতক্ষণ ট্রলার ও নিখোঁজ ৯ জনের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষণ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এমভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০-৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ৮ জন ট্রলারযাত্রী নিখোঁজ হন। লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লার (৩০) দায়িত্ব অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, বুধবার রাতেই লাঞ্চটিকে সদর ঘাট এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর লঞ্চ থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ৯ জন নিখোঁজের নাম পরিচয় রয়েছে।
Leave a Reply