
রাজবাড়ীঃ আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নে। আসন্ন এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তরুন প্রার্থী সাজ্জাদ হাসান বাপি।
বৃহস্পতিবার তিনি পাংশা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
সাজ্জাদ হাসান বাপির দাদা মরহুম চাঁদ আলী টানা ৩০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের। পাকিস্থান আমল থেকে শুরু করে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এরপর সাজ্জাদ হাসান বাপির চাচা অ্যাডভোকেট আক্কাস আলী টানা তিন বারের (১৯৯৭-২০১৫) চেয়ারম্যান ছিলেন একই ইউনিয়ন পরিষদের। দাদা ও চাচার কাজের সততার পুরষ্কার হিসেবে বারবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছিলেন তাদের। তাদেরই উত্তরসূরি সাজ্জাদ হাসান বাপি।
এই প্রার্থী সম্পর্কে এলাকার যুবকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হলেও এমন কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আছে যারা দলীয় প্রতীকের ঊর্ধ্বে। দলমত নির্বিশেষে সবাই চায় এমন প্রার্থীই ইউপি চেয়ারম্যান হোক যাদের কাছে ইউপিবাসীর সুখ দুঃখে পাশে থাকাই প্রধান দায়িত্ব। আর এক্ষেত্রে তরুণ প্রার্থী হলে তো কথাই নেই। এমন একজন ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হাসান বাপি। আমরা এই তরুণ প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়যুক্ত দেখতে চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ (২য় ব্যাচ) থেকে পড়াশোনা শেষ করা সাজ্জাদ হাসান বাপি আইন বিষয়েও অধ্যয়নরত। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার এর পাঁচ সন্তানের মধ্যে ৩য় এবং চেয়ারম্যান বাড়ীর বড় ছেলে। আব্দুস সাত্তার আলী ছিলেন শিক্ষানুরাগী। একই ইউনিয়নের গোপালপুর কলেজিয়াট স্কুলের প্রতিষ্ঠা উদ্যোক্তা এবং প্রধান শিক্ষক। সাজ্জাদ হাসান বাপি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাড়ী জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এই ছাত্র কল্যাণ সমিতি অসহায় গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সে জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস সাত্তার স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদ হাসান বাপি এই পরিষদের মাধ্যমে এলাকায় পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী ও গরিব দুঃখীদের আর্থিক সহযোগিতা দেয়াসহ তাদের সুখ দুঃখে সার্বক্ষণিক পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ে বিএনপি হলেও দলমত নির্বিশেষে তাকে একজন জনবান্ধব নেতা হিসেবেই চেনেন।
এ ইউনিয়নে উঠতি ভোটারদের মতে, জনপ্রতিনিধি না হয়েও বাপি একজন পরিপুর্ণ রাজনীতিবিদ। তরুন এই রাজনৈতিক নেতাকে স্থানীয় জনগণ সবসময়েই কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়।
জানতে চাইলে এই বিষয়ে সাজ্জাদ হাসান বাপি বলেন, দাদা মরহুম চাঁদ আলী ও চাচা অ্যাডভোকেট আক্কাস আলী সুনামের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করেছেন। জনগণের প্রত্যাশাকে মূল্যায়ন করে আমিও চাই এলাকার উন্নয়ন করতে। সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হলে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে জনগন তাকে মুল্যায়ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/১০/১২/২০২১
Leave a Reply