
বান্দরবানঃ তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (২৮নভেম্বর) রবিবার বান্দরবানে আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চৈক্ষং ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেন ৬জন প্রার্থী। এসময়ে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শফিউল আলম। সেই সুযোগ ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার বানিয়ে দিবে বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরাজিত দুই মেম্বার প্রার্থী। পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মোঃ সেলিম বলেন শফিউল আলম আওয়ামী লীগের বড় একজন নেতা তিনি আমাকে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার বানিয়ে দিবে বলে আমার থেকে ১ লাখ ১২ হাজার কন্টাক্টকরে নির্বাচনী কেন্দ্র এবং উপজেলায় বিভিন্ন অফিসে টাকা দিয়ে যদিও আমি ভোট কম পাই রেজাল্ট উল্টে দিয়ে হলে আমাকে মেম্বার ঘোষণা করা হবে বলে আমার কাজ থেকে টাকা নিয়েছে শফিউল আলম এবং নির্বাচন শেষ হওয়ার পরের দিন ৬নং ওয়ার্ডের আরও প্রার্থীদের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর শুনেছি বলেন তিনি।
আরও একজন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জনাব মোঃ আবু নায়েম তার কাজ থেকেও একি কথা বলে (৮৫হাজার টাকা) কন্টাক্ট এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী মোঃ আবু নায়েম।
এদিকে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির প্রধান শফিউল আলম কে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা আমার বিরুদ্ধে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন তারা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কারণে কিছু করতে না পারায় এখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে এটা একটি বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে তিনি দাবী করেন।
অন্য দিকে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস রহমান কে ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির প্রধান শফিউল আলম এর ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শফিউল আলম আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে মেম্বার প্রার্থীর কাজ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কয়েকজন ভুক্তভোগী মেম্বার প্রার্থীরা আমাকে বলেছেন তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির প্রধান হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছি আমি কেননা নৌকা কার্ড গলায় দিয়ে শফিউল আলম ভোট খুঁজতেছে নৌকার বিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদীনের জন্য। তার প্রমান আমার কাছে আছে এবং আমাদের দলীয় কর্মীদের কাছে থেকেও শফিউল আলম গোপনে ভোট চাইলেন নৌকার বিপক্ষের প্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদীনের জন্য তার প্রমানও আমার কাছে আছে এমনকি কর্মীরাই সাক্ষী আছে বলে জানান ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের নৌকার মাঝি সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান।
এ বিষয় নিয়ে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বাবু দুংড়িমং মার্মা বলেন, মোঃ শফিউল আলম তিনি ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীদের কাজ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আজ আমাকে বেশ কয়েকজন লোক বলেছেন এবং মোঃ শফিউল আলম তিনি ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির প্রধান হওয়ার পরেও সে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোপনে কাজ করেছে সেই বিষয়টাও আমি শুনেছি এবং কিছু তথ্য প্রমান আছে। শফিউল আলম এর ব্যপারে আমরা দলীয় কার্যালয়ে আগামীকাল শফিউল আলম সহ অভিযোগক্ত ও ভুক্তভোগীদের ডাকা হয়েছে এবং আগামীকাল আরো তদন্ত করা হবে। যদি তার অপরাধ প্রমানিত হয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া হবে এবং এই অপর্কম দায়ভার দল নিবেনা বলে জানান তিনি।
আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/০৭/১২/২০২১
Leave a Reply