বিভিন্ন দেশকে ‘চাপে রাখাই’ আমেরিকার রাজনীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পুরোনো ছবি।

ঢাকাঃ গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বলে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চাওয়াই আমেরিকার রাজনীতি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী মাসে হতে যাওয়া ‘গণতন্ত্রের জন্য সম্মেলনে’ বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

আজ শুক্রবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার আমন্ত্রিত দেশগুলোর যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ফ্রান্স ও সুইডেনের মত পরিণত গণতন্ত্রের দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ভারত, ফিলিপিন্স ও পোল্যান্ডের নামও। এ দেশ তিনটিতে গণতন্ত্র ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা বলে আসছেন।
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কে দাওয়াত দিলো, না দিলো এগুলো সেকেন্ড বিষয়। গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না, আপনার দেশের লোকই শেখাবে।’

আগামী গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমেরিকা বিভিন্ন দেশকে কখনও গণতন্ত্রের কথা বলে, কখনো সুশাসনের কথা বলে, কখনো সন্ত্রাসবাদের কথা বলে চাপে রাখতে চায়। সেটাই তাদের রাজনীতি। তাই গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাক পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এসব নিয়ে চিন্তা না করে নিজেরা কীভাবে ভালো করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। যদি আমাদের দুর্বলতা থাকে, সেটা আমরা দূর করার চেষ্টা করব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এ দুর্বলতা সামনে নিয়ে আমরা দিনে দিনে যাতে আরও ভালো করতে পারি, আমরাই ঠিক তাই করব। অন্যের ফরমায়েশে আপনার ভালো হয় না। এগুলো শুধু মুখে বললেই হবে না। এই জন্যে মনমানসিকতা দরকার। আমাদের দেশে সহনশীলতা আরও বাড়াতে হবে। এটার একটু অভাব পরীলক্ষিত হয়।’

মোমেন বলেন, ‘এ দেশে একসময় গণতন্ত্র ছিল না। এ দেশের লোকই গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। আগামীতে এই গণতন্ত্রকে আরও পরিপক্বতা অর্জনের জন্য আমরাই চেষ্টা করব। অন্য কেউ করতে পারবে না।’

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেটের ডিসি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ, সিসিক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ছিলেন মন্ত্রীর সঙ্গে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.