
ঢাকাঃ নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে কষ্টে আছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ বুধবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এই মন্তব্য করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা করোনার প্রভাবে নির্বাচন নিয়ে একটু কষ্টের মধ্যে আছি বলা চলে। কারণ স্বাভাবিক সময়ে হয়তো তিন শ, সাড়ে তিন শ এর বেশি নির্বাচন করার প্রয়োজন হতো না। মূলত ২০২০-এর মার্চ থেকেই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনগুলো ডিউ হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা নির্বাচনগুলো শুরু করেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে সবগুলো নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারিনি।’
সিইসি কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন সফল হয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, অল্প বিচ্ছিন্ন ঘটনা আছে তবে দুই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামগ্রিকভাবে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো কিছুতেই কাম্য নয়। তবুও নির্বাচনের মানদণ্ড যদি ভোট প্রদান হয়, তাহলে আমি বলবো গত নির্বাচনগুলো গড়ে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করে। সেই উত্তেজনা ও উত্তাপ কখনো কখনো সহিংসতায় পরিণত হয়ে যায়।
মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারীদের প্রশংসা করে সিইসি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মাঠপর্যায়ে যারা নির্বাচনী দায়িত্বপালন করেছেন, তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য। যেখানে নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল সেসব জায়গার নির্বাচন স্থগিত করেছেন। এভাবে গত ধাপে প্রায় সাড়ে আট হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ থেকে ১৮টি নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পারেনি। তার মানে আমরা দেখেছি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/২৪/১১/২০২১
Leave a Reply