তসলিমা নাসরিন ‘বেয়াদব মহিলা’

ঢাকা: কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের আলোচিত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের এই সিনেমাটি ইতিমধ্যেই এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস (অ্যাপসা) জিতেছে। আর সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। বিভিন্ন দেশ ঘুরে দেশের প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসাও কুড়াচ্ছে।

তবে এর মধ্যে বাধ সাধল আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সিনেমাটি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করেছেন। অবশ্য তার এই সমালোচনার ‘কড়া’ জবাব দিয়েছেন গুণী গীতিকার-সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। বলেছেন, ‘এই নারসিসিস্ট বেয়াদব মহিলা তো নিজেই সংবেদনশীল না।’

ফেসবুক পোস্টে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘আলোচিত রেহানা মরিয়ম নূর ছবিটা নিয়ে এবার সমালোচনা করছে লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লিখছে রেহানাকে তার সংবেদনশীল, সৎ বা উদার কোনো মানুষ মনে হয়নি। হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। এই নারসিসিস্ট বেয়াদব মহিলা তো নিজেই সংবেদনশীল না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আবরার এমনি এমনি মরে গেছে, হত্যা ইচ্ছাকৃত নয় বলার পর আমি তাকে দীর্ঘদিন একা থাকার জন্য সে অসুস্থ ও ট্রিটমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দিলে সে আমাকে ডিলিট করে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘যে নিজের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না সে মুক্তমনা, উদার হয় কেমন করে? যে লেখা সামান্য বোঝে সে-ও জানে যে তসলিমার লেখা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং একটা কবিতা লিখেছি একটু দেখুন না, দেখুন না করে বড় বড় লেখকদের পা চেটে একটা জায়গা করে নিয়েছিল মাত্র। আর ডাক্তার বলে বড় বড় লেখকদের সহযোগী হিসেবে জায়গা পেয়ে যায়। দু’একটা নিম্নমানের বই-টই লিখল। অশিক্ষিত মৌলবাদীরাও হৈ হৈ করে উঠল। দেশের বাইরে একটা পার্মানেন্ট ব্যবস্থা হয়ে গেল। ওকে আর পায় কে? আচ্ছা ও সিনেমার কী বোঝে? বয়সের অতৃপ্তিতে ভুগছে। কিছু বলদ ফ্যান-ট্যান জুটিয়ে সহমত দিদি, সহমত দিদি শুনতে শুনতে দিন দিন আরও এবনরমাল হয়ে যাচ্ছে।’

সবশেষে গুণী এই গীতিকার লিখেছেন, ‘BTW পোস্টে কখনো কোনো আজে বাজে শব্দ লিখি না। এখানে যা দু’একটা লিখেছি তা বিভিন্ন বিশিষ্টজনকে নিয়ে তারই লেখা (বুলিং) শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ মাত্র। সে অধিকাংশ সময় অনর্থক একটা কন্ট্রোভার্সি শুরু করে। মূল পয়েন্ট হলো সে নিজে মুক্তমনা, উদার? মূল পয়েন্ট থেকে সরে গিয়ে লৈঙ্গিক সুবিধা নেবার চেষ্টায় কেঁদেকেটে একাকার না হয়ে ভাবেন। সে সারাজীবন বুলিং করে গেছে কেউ কিছু বলেনি।’

আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/২৪/১১/২০২১

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.