ফেসবুকে নিষিদ্ধ তসলিমার টুইটারে ক্ষোভ

ঢাকাঃ বাংলাদেশি হিন্দুদের পক্ষে প্রতিবাদে কথার বলার কারণেই ফেসবুক থেকে সাতদিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে, এমনই অভিযোগ করলেন বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন। তার অভিযোগ, সত্যি কথা বলার জন্যই তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে। এই নিয়ে তিনি টুইট করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সেই টুইটবার্তায় বলেন, হিন্দুরা হনুমানের উরুর ওপরে পবিত্র কুরআনকে রেখেছে এই বিশ্বাসে ইসলামপন্থীরা হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দির জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যখন দেখা গেলো যে, কাজটি করেছে ইকবাল, তখন তারা চুপ ছিলেন। ইকবালের বিরুদ্ধে কিছুই বলেনি। এজন্যই ফেসবুক আমাকে নিষিদ্ধ করে।

উল্লেখ্য, তসলিমা নাসরিনকে এর আগেও নিষিদ্ধ করেছিল ফেসবুক। এ বছরের ১৬ মার্চে এ লেখিকা অভিযোগ করেন, ফেসবুক তাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করেছে। তারও আগে ২০১৫ সালে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট তসলিমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি তাদের ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ নীতি লঙ্ঘন করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ অর্থাৎ ব্যান করে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের নীতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিদ্বেষমূলক যেকোনো বক্তব্য মানুষের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করি। এজন্য জাতিসত্তা, বংশপরিচয়, শারীরিক অক্ষমতা, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ও গুরুতর রোগ নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বিবেচনায় নিয়ে অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা নিষিদ্ধ হয়।

আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/০১/১১/২০২১

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.