নদী ভাঙনে দিশেহারা পদ্মাপারের মানুষ

কুষ্টিয়াঃ জেলারদৌলতপুরে পদ্মা নদীতে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার ভাঙনে কয়েক হাজার একর আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন খুঁটি, ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি এলাকাবাসীর। ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীতে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়া, ভুরকাপাড়া ও কোলদিয়াড় এলাকায় ভাঙনে অনেকের বসতবাড়ি ও হাজার হাজার একর আবাদি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন খুঁটি, সরকারি স্থাপনা, বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি পদ্মাগর্ভে চলে যাওয়ায় তারা এখন সর্বস্বান্ত ও আশ্রয়হীন। ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।

ভুরকাপাড়া এলাকার বানাত আলী জানান, বন্যার পানি কমেছে, তবে নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে এলাকার কৃষকদের শত শত বিঘা আবাদি জমি প্রতিদিন নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ভাঙন অব্যাহত থাকলে আর ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়া হলে অচিরেই নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে। পদ্মার ভাঙনরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর জানান, ভাঙনরোধে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে অচিরেই মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মরিচা ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড। তাই পদ্মা নদীর ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

তবে আশ্বাস নয়, সর্বগ্রাসী পদ্মার করালগ্রাস থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক- দাবি পদ্মা পারের মানুষের।

আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/০১/১১/২০২১

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.