
ঢাকাঃ বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি গানে চীনকে খাটো করা হয়েছে, এমন অভিযোগে চাইনিজ-অস্ট্রেলিয়ান একজন সংগীত শিল্পীকে নিষিদ্ধ করেছে বেইজিং। সেই সঙ্গে চীনের সবগুলো মাধ্যম থেকে ওই গানটি মুছে দেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে দ্য টাইমস।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্যান হওয়া শিল্পী কিম্বারলি চেন তার গানের মাধ্যমে তাইওয়ানের প্রতি চীনের হুমকি, মহামারিতে দেশটির ভূমিকা, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের দমন এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে বেইজিংয়ের তৎপরতাকে তুলে আনেন। এ ছাড়া গানটিতে চীনাদের বাদুড়প্রীতি এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের স্বেচ্ছাচারিতাও তুলে আনা হয়েছে।
দ্য টাইমস আরও জানায়, চীনের সবচেয়ে বড় সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েইবো থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছেন কিম্বারলি চেন। শুধু তাই নয়, ম্যান্ডারিন ভাষায় লেখা ‘ফ্র্যাজিল’ শিরোনামের গানটি প্রকাশ পাওয়ার কয়েকদিন পরেই সবগুলো সাইট থেকে সেটি মুছে দেওয়া হয়েছে। গানটিতে চেনের সহযোগী, নামউই নামে পরিচিত মালয়েশিয়ান একজন হিপহপ শিল্পীকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম্বারলি জানান, তার অ্যাকাউন্ট এবং গান মুছে দেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে তবে তাতে তিনি দমে যাবেন না।
আলোচিত এই শিল্পী জানান, ‘প্রত্যেকের নিজস্ব মতামতের অধিকার আছে। তারা যদি আমাকে অনলাইনে ট্রল করে, আমি মনে করি তাদের এটা করার অধিকার থাকা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেটা অনুভব করি, সত্য বলে জানি কেবল তাই প্রকাশ করি। ওই গানটিও তার ব্যতিক্রম নয়।’
উল্লেখ্য, বাদুড় থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলে অধিকাংশ বিজ্ঞানী ধারণা করেছেন। চীনাদের বাদুড়প্রীতিই করোনা মহামারি ডেকে এনেছে বলে মনে করেন অনেকেই। সেই সঙ্গে তাইওয়ানের গণতন্ত্র বিনষ্টে বেইজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেইজিয়ের যুদ্ধ বেধে যাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের দমন-পীড়ন এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের দারিদ্র্য ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে চীনের ঋণের ফাঁদ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কিম্বারলির গান প্রকাশের এই ঘটনাকে অনেকেই সাহসী পদক্ষেপ এবং প্রতিবাদের অংশ হিসবেই দেখছেন।
আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/০১/১১/২০২১
Leave a Reply