সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় কোনো মন্দির ভাঙ্গা হয়নি

ঢাকাঃ কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগে দেশের কয়েকটি জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় দুই জন হিন্দু নিহত হয়েছে। এ সহিংসতায় ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো মন্দিরও ভাঙ্গা হয়নি। শুক্সারবারম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান প্রচারণার বিপরীতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনই মুসলিম যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান। নিহত দুই হিন্দুর একজন মারা গেছেন স্বাভাবিকভাবে। আরেকজন মারা গেছেন পালানোর সময় পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে। ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি মন্দিরও ভাঙ্গা হয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সহিংসতার সময় দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে যা দুর্ভাগ্যজনক এবং এটা হওয়া উচিত হয়নি। সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।

এ ঘটনার ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, যে ২০টি ঘর আগুনে পোড়ানো হয়েছে, সেগুলো পুনরায় বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, আরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে কিছু অতি উৎসাহী সংবাদমাধ্যম ও ব্যক্তি বানোয়াট গল্প প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যক্তিগত বাসাবাড়িসহ বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কারণ, সরকার প্রতিটি পূজামণ্ডপে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।

এতে বলা হয়, একজন মাদকাসক্ত পবিত্র কোরআনের একটি কপি নিয়ে একটি মূর্তির পায়ের কাছে রেখেছিল আর একজন সেই দৃশ্যের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করে দেওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছে। সরকার অপরাধীকে শাস্তি প্রদান এবং ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে সব নাগরিককে রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/২৯/১০/২০২১ 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.