পীরগঞ্জে সহিংসতা: তদন্তে নতুন মোড়

পীরগঞ্জে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনার তদন্তে নতুন মোড় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য জানান তিনি।

জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জে মাঝিপাড়ার সহিংসতার ঘটনার তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা শুরু থেকে ঘটনার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করে এলেও সোমবার গাইবান্ধা থেকে সহযোগীসহ সক্রিয় এক শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তারের পর এই ঘটনায় একটি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশের বাধায় পরিতোষের বাড়িতে হামলা করতে না পেরে ৩০০ গজ দূরে মাঝিপল্লীতে ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। সেদিন এলাকার চিহ্নিত কিছু জামায়াত-শিবিরের সাথী-সমর্থকদের সঙ্গে শত শত অচেনা মানুষ সহিংসতায় অংশ নিয়েছিল।

পরে জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, সাদুল্লাহপুর, পাশের মিঠাপুকুর থেকে তারা এসেছিল। এলাকাগুলো জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত বলে পরিচিত। এরই মধ্যে পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের অনেকের বাড়ি ওইসব এলাকায়।

সোমবার পলাশবাড়ির ধাপেরহাট এলাকা থেকে মাঝিপল্লীর হামলায় সরাসরি জড়িত মামুন এবং ওমর ফারুক নামে দুই শিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। এদের মাধ্যমে ঘটনার মোটিভ ও মাস্টারমাইন্ডদের খুঁজে দেখতে চায় পুলিশ।

এরই মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৬৬ জনের মধ্যে প্রথম দফায় ৩৭ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে করা জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য পাওয়ার দাবি করছেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.