শীতের দেখা মিলছে শ্রীমঙ্গলে

ষড়ঋতুর আমাদের এই দেশে হেমন্ত মানেই শীতের আগমনী বার্তা। চায়ের পাতায় কিংবা লাউয়ের ডগায় শিশির ভেজা ও কুয়াশা জানান দিচ্ছে, শীত আসছে।

বড় শহর বা মহানগরীর দালান কোঠায় শীতের পরশ পড়তে একটু দেরি হলেও চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে এরইমধ্যে দেখা মিলছে কুয়াশার। শুরু হয়েছে এখানকার প্রকৃতিতে হেমন্তের হিম হিম হাওয়া। সূর্যোদয়ের আগে দেখা যায় শিশিরে ঘাসভেজা ।
এখনের রোদের নরম রঙও শিশুর গালের মতোই লাল। সবুজের সমারোহ রুপসী বাংলায় হেমন্তের এই চিরায়ত রুপের কথা বারবার এসেছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়।

ওগো শীত, ওগো শুভ্র, হে তীব্র নির্মম, তোমার উত্তরবায়ু দুরন্ত দুর্দম অরণ্যের বক্ষ হানে। বনস্পতি যত থর থর কম্পমান, শীর্ষ করি নত আদেশ-নির্ঘোষ তব মানে। “জীর্ণতার মোহবন্ধ ছিন্ন করো’ এ বাক্য তোমার ফিরিছে প্রচার করি জয়ডঙ্কা তব দিকে দিকে।

হেমন্ত মানেই শীতের আগমনী। শিশিরভেজা ঘাস, ভোরে ও সন্ধ্যায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। শীতের আগাম সবজির খেতে কৃষকের ব্যস্ততা। আলমিরায় বন্দি থাকা গরম কাপড় গুলো আলনায় স্থান দেয়াসহ আরো কত কি।

শীতের অন্যতম রাজ্য’ শ্রীমঙ্গলের সাধারণ মানুষ বলছেন, ‘হেমন্ত মানে শীত শীত ভাব, ঠান্ডা বাতাস, শীতল প্রকৃতি। শেষ রাতের দিকে ঠান্ডা লাগে, পরে হয়তো হালকা কম্বল বা চাদর গায়ে মুড়ে দেই।

গ্রামবাংলার সরল-সাদামাটা মানুষেরা বলছে, অপ্রাপ্তি আর দুঃখ-বেদনা যতই থাকুক, হেমন্ত এলে প্রকৃতির মতোই তাদের জীবনেও নেমে আসে এক শীতলতা, এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে হৃদয়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.