
ভারতে ধর্ষণের পরীক্ষা হিসেবে টু ফিঙ্গার টেস্টকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আট বছর আগে। ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া-কাণ্ডের পরের বছরই সুপ্রিম কোর্ট টু ফিঙ্গার টেস্টকে নারীদের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করে। তারপরও দেশটির সেনাবাহিনীতে একজন সেনা চিকিৎসক নির্যাতিতা সেনাকর্মীর ওপর সেই পরীক্ষা করেন কী করে! এমন প্রশ্ন তুলেছে দেশটির জাতীয় মহিলা কমিশন।
কোয়ম্বত্তূরে ভারতীয় বায়ুসেনার কলেজে এক নারী সেনাকর্মীকে ধর্ষণের খবর কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওই মহিলা সেনাকর্মী অভিযোগ করেন, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য তাকে বিতর্কিত এবং নিষিদ্ধ টু ফিঙ্গার টেস্ট দিতে বলা হয়েছিল।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর চিকিৎসক যখন তাকে ওই পরীক্ষা দিতে বলেন, তখন পরীক্ষাটি নিষিদ্ধ বলে জানতেন না তিনি। যদিও পরীক্ষাটি করার সময় তার ধর্ষণের মানসিক যন্ত্রণার কথা নতুন করে মনে পড়ে যায়। নির্যাতিতার ওই বয়ানের প্রসঙ্গ তুলেই মহিলা কমিশন জানিয়েছে, যেভাবে ওই নারীকে তার যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা মনে করানো হয়েছে তা নিন্দনীয়।
কমিশন জানিয়েছে, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের এই কাজে তারা হতাশ এবং তারা ঘটনাটির নিন্দা করছে। যেভাবে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, তা দেশের বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের কাছে কাম্য নয়। এ ব্যাপারে বায়ু সেনাবাহিনীর এয়ার চিফ মার্শালকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা চিঠি লিখেছেন বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিটিতে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় মেডিকেল কাউন্সিল টু ফিঙ্গার টেস্টকে অবৈজ্ঞানিক বলে ঘোষণা করেছিল। সূত্র : আনন্দবাজার
Leave a Reply