পানিবন্দী লাখো মানুষ

ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের নিম্নাঞ্চলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার চারটি উপজেলার শতাধিক গ্রামের ২৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পদ্মায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত সেন্টিমিটার পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা সদর, চরভদ্রাসন,ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলার শতাধিক গ্রামে এই পানি ঢুকেছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম বন্যাকবলিত। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।’ নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, তাঁর ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ১৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, ‘পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গবাদিপশুর খাদ্য মজুত আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

চরভদ্রাসন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যা জানান, এই উপজেলার ঝাইকান্দা, হরিরামপুর, চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দী। সদরপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন দিয়ারা নারকেলবাড়িয়া, চরনাছিরপুর ও চরমাইরের ১৫টি গ্রামে পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান বলেন, ‘পানিবন্দী মানুষের নিয়মিত খোঁজ–খবর রাখছি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই সমস্যাগ্রস্ত মানুষের পাশে সরকারি সহায়তা নিয়ে যেতে পারব।’ জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আমরা জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের খবর রাখছি। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’

আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/২২/০৮/২০২১

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.