দাম বেড়েছে তেল চিনি ডালের

বাজার

ঢাকাঃ ভোজ্য তেল ও চিনির বাজারে অস্থিরতা আরো বেড়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। আর ভোজ্য তেল পাম ও সয়াবিনের দাম এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বিক্রেতারা আগের মতোই পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কথা বলছেন। আর পাইকাররা মিল মালিকদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান ও মিরপুর-১ নম্বর বাজারে দেখা গেছে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। চাল, আটা, ডাল, তেল ও চিনিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে করোনাকালে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ বিপাকে রয়েছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সাদা চিনি বিক্রি হয় ৭০-৭২ টাকায়। বৃহস্পতিবার তা ৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রাজিল থেকে চিনি আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে মিল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। এই দামের লাগাম টানা দরকার। কারণ সামনের দিনগুলোতে দাম আরো বাড়তে পারে।

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। গত সোমবারও সয়াবিনের কেজি ছিল ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে পাম তেলের দামও। ১১৮ টাকা কেজির পাম তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকা।

খুচরা বাজারে ভোজ্য তেল লিটারে বিক্রি হয় কম। তবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে খোলা সয়াবিনের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৬ টাকা, এক সপ্তাহ আগে যা ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ছিল। আর পাম তেল ১১৬ থেকে ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১১২ থেকে ১১৬ টাকা লিটার।

তেল-চিনির সঙ্গে চলতি সপ্তাহে এক-দুই টাকা বেড়েছে সরু চালের দাম। এ ছাড়া আদা-রসুন, সবজি, ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে চলতি সপ্তাহে। চায়না আদা এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন আবার ১৫০ টাকায় উঠেছে। রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম নেমে গিয়েছিল তলানিতে। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গতকাল ১৩০ টাকা কেজি পর্যন্ত দাম চাইলেন খুচরা বিক্রেতারা।

কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি নাজির হোসেইন বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটর করতে হবে।

আমাদের বাণী/বাংলাদেশ/২০/০৮/২০২১

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.