রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘন্টায় ১৩ জনের মৃত্যু

করোনা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যু কমেছে। গত দু’দিন থেকে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ১৩ এর ঘরে। গত ২৯ জুলাই এই সংখ্যা ছিলো ১৭ জন। তার আগের দিন মারা গিয়েছিলো ১৮ জন। ২৭ জুলাই এই সংখ্যা ২১ জন হয়েছিলো। মৃত্যু কমার পাশাপশি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগি ভর্তির সংখ্যাও কমেছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিলো ৬৫ জন।

ঈদের আগেও হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো বেশি। ফলে অতিরিক্ত রোগি রাখতে হতো মেঝেতে। একটি বেডের জন্য রোগির স্বজনদের ছুটোছুটি করতে হতো। রোগী মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হতো। করোনা আক্রান্ত কেউ মারা গেলে সেই বেড পেতো অপেক্ষমান রোগি। ঈদের পর থেকে পাল্টে গেছে এই চিত্র। ফাঁকা থাকছে করোনা ইউনিটের শয্যা। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনা রোগিদের জন্য নির্ধারিত ৮০টি বেড খালি রয়েছে। শনিবার সকালে ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে রোগি ভর্তি ছিলো ৪৩৩ জন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও উপসর্গে আটজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, পাবনার পাঁচজন, নওগাঁর তিনজন, নাটোরের একজন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন।

একই সময়ে করোনা ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৩২ জন। হাসপাতালে ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে বর্তমানে রোগি ভর্তি আছে ৪৩৩ জন। ২৪ ঘন্টায় নতুন ভর্তি হওয়া ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছে রাজশাহীর ১৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন, নাটোরের সাতজন, নওগাঁর একজন, পাবনার ১৮ জন, সিরাজগঞ্জের দু’জন ও চুয়াডাঙ্গার একজন।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে যে ৪৩৩ জন ভর্তি রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই রাজশাহীর। করোনা ও উপসর্গে রাজশাহীর ১৮৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছে এখানে। এছাড়া চিকিৎসা নিচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৮ জন, নাটোরের ৭৬ জন, নওগাঁর ৩০ জন, পাবনার ৮৫ জন, কুষ্টিয়ার ১২ জন, চুয়াডাঙ্গার তিনজন ও সিরাজগঞ্জের তিনজন।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মারা গেছে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে মারা গেছে চারজন। মৃতদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও ছয়জন নারী।

এদিকে, শুক্রবার জেলায় ৪৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১১ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিলো ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.