
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের চার উপজেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে জেলা সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং আলীকদম উপজেলায় পানিতে তলিয়েছে কয়েকশ ঘরবাড়ি। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পরেছে লক্ষাধিক মানুষ।
জেলার সাংগু-মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পুরো জেলায় ১৪০টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরের তেরোটি আশ্রয় কেন্দ্রে ইতিমধ্যে আড়াই হাজার লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদম উপজেলায় সড়ক ও পাহাড় ধস দেখা গেছে। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় আলিকদম থানচি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, অব্যাহত ভারী বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে বন্যার পানি ক্রমশ বাড়ছে। ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
লামা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সানজিদা বিনতে সালাম জানান, গত তিনদিনের পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে আমন বীজতলা অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়েগেছে। একইভাবে উপজেলায় ফলদ ও বনজ বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় পৌরসভায় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানাগেছে, জরুরীভিত্তিতে লামা পৌরসভার জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল এবং ২লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। বৃষ্টিতে উপজেলাগুলোতে পাহাড়ধসে সড়ক, ঘরবাড়ি ও বৃষ্টিতে সড়কধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
Leave a Reply