কামরাঙ্গীরচরে মা-মেয়েকে হত্যা

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা-মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হতে পারে।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে নয়াগাঁও ৩নং গলির একটি বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন-মা ফুল বাসি চন্দ্র দাস (৩৪) ও মেয়ে সুমি চন্দ্র দাস (১২)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ফুল বাসি’র স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস (৩৬) ও তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে (১৪) আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, মুকুন্দ চন্দ্র ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। মাঝে মাঝে তিনি ঠেলা গাড়িও চালাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে ফুল বাসি ও মেয়ে সুমি চন্দ্র দাসকে হত্যা করা হয়। সুরতহাল শেষে মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জহুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমরা মরদেহ দুটি উদ্ধার করি।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাতে তিনি বলেন, বড় মেয়ে ঝুমা ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে মা এবং বোনকে অচেতন অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে দেখেন মা-মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে পুলিশকে খবর দেয়।

এসআই জহুরুল আরও বলেন, সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে ফুল বাসি’র স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস ও বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.