সাংবাদিককে পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে মারধর এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের হাউজিং মাঠ এলাকার এ ঘটনায় মাসুদ গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতেই তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি চ্যানেল ২৪-এর ক্যামেরাপার্সন ও বাংলাদেশ বুলেটিনের জেলা প্রতিনিধি।

মামলায় মাসুদ উল্লেখ করেন, নিজ বাসা থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আকুর টাকুর পাড়ায় হাউজিং মাঠ এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবলু ও তার ছেলে মির্জা সিয়াম আনোয়ার বিশালসহ আরও অনেকেই মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন।

পরে মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবলুর নির্দেশে তার ছেলেসহ পাঁচ-ছয়জন প্রথমে মাসুদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ করতে মানা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি এবং লাথি মারা হয়।

এ ছাড়া মির্জা সিয়াম আনোয়ার বিশালের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাসুদের মাথায় আঘাতের চেষ্টা করেন। এ সময় মাসুদের কাছে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা নেয় এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন তারা। পরে মাসুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা মাসুদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পরবর্তীতে সুযোগ পেলে আরও মারধর করা হবে এবং হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে।’ পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাসুদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছসেবক লীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবলু ও তার ছেলে মির্জা সিয়াম আনোয়ার বিশাল, মো. রাফি ও মো. রাকিব।

সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘গত বছরের ১ মে ছিনতাই ও মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবলুর ছেলেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদও করা হয়। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবলুর নির্দেশে আমাকে হত্যার চেষ্টা এবং মারধর করা হয়। পরে আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করি। আমি এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি করছি।’

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল সদর থানায় এসআই মোরাদুজ্জামান বলেন, সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোও হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.