
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১৩ বছরের এক মেয়েকে গোপনে নিয়মিত ধর্ষণ করত আপন মামা ও খালাতো ভাই। এ ঘটনায় মামা ও খালাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলো কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া আদর্শনগর এলাকার এক কিশোর (১৬) ও মালেক (৪০) ।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মায়ের মৃত্যুর পর বাবা পরবর্তীতে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। সে কারণে মেয়েটি তার খালার বাসায় থাকে। মেয়েটিকে তার আপন মামা ও খালাতো ভাই ভয় দেখিয়ে প্রায়ই তার ধর্ষণ করত। এ অবস্থায় মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে।
জানা যায়, শারীরিক অসুবিধা বোধ করলে এলাকার কয়েকজন নারী মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক জানান মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা সালিশির আয়োজন করে। সালিসে কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারায় ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে কিশোরী ও অভিযুক্ত রমজান এবং ওই কিশোরকে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত কিশোরের বাবা বলেন, আমার ছেলে এ কাজ করেছে বলে আমার কাছে স্বীকার করেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ মেয়েকে আমার ছেলের বউ করব। কিন্তু ওর মামার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।
আদর্শনগর পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস বলেন, ওই কিশোর ও তার মামা মালেক আমাদের কাছে ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করেছে। বিষয়টি জটিল হওয়ায় আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে তাদের আইনের হাতে তুলে দিই। এলাকাবাসীর দাবি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার হোক।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply