
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর একে একে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জুস কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল বিকালে কারখানায় আগুন লাগার সময় লাফিয়ে পড়ে তিনজন মারা যান।
এদিকে ভোর থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কারখানা এলাকায় স্বজনদের ভিড় বাড়ছে। তাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকার পরিবেশ।
বেলা ১১টায় নিখোঁজ শ্রমিকদের দ্রুত সন্ধান চেয়ে ওই কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। এ সময় আটটি মোটরসাইকেল ও ১৫/২০ যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাসেম ফুড লিমিটেডের আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে সংরক্ষণাগার থেকে তিনটি শর্টগান লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল পৌনে ৬টার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতায় সেজান জুস কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক স্বপ্না রানী (৪৪) ও মিনা আক্তার (৩৪)। ঘটনাস্থলেই তাঁরা দুজন মারা যান। এরপর মোরসালিন (২৮) নামের একজন শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে ওই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেন। মোরসালিনকে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন অধশতাধিক শ্রমিক। এছাড়া আহত শতাধিক শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট।
Leave a Reply