প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড

ডেনমার্কের স্বপ্ন যাত্রা থামিয়ে ৫৫ বছর পর মেজর কোনো ট্রফির ফাইনালে পা রেখেছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ইংলিশরা। ইউরোপা চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে প্রথমার্ধে ড্যামসগার্ডের দারুণ ফ্রি কিকে পিছিয়ে পড়ে ইংলিশরা। তবে নিজেদের ভুলে আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরায় ডেনিশরা। পরে অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের গোলে প্রথমবার আসরের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড।

আজ বুধবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। আগামী রোববার রাত ১টায় ওয়েম্বলিতে স্বপ্নের ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা।

১৩তম মিনিটে কেইনের বাড়ানো বলে বাঁ দিক থেকে রহিম স্টারলিংয়ের ডানপায়ের শট সরাসরি ক্যাস্পার শুমেইখেলের হাতে চলে যায়। দুই মিনিট পর কেনের শক্তিশালী হাফ ভলি গোলবারের ওপর দিয়ে যায়।

১৬তম মিনিটে ফিলিপস বলের দখল হারান। তাতে হজবার্গ ইংল্যান্ডের বক্সে সুযোগ তৈরি করে। তার নিচু শট লক্ষ্যে ছিল। জর্ডান পিকফোর্ড সেভ করেন, যদিও তা চলে যায় ডলবার্গের কাছে। তিনি ব্রেইথওয়েটকে শট নেওয়ার সুযোগ করে দেন, কিন্তু ম্যাগুইরে ব্লক করেন। স্ট্রাইগার লার্সেনের কর্নারে বল বিপজ্জনক জায়গা থেকে পাঞ্চ করে ফেরান পিকফোর্ড।

গোটা টুর্নামেন্টে গোলপোস্ট অক্ষত রাখা ইংল্যান্ড ভেঙে পড়ে ৩০ মিনিটে। ড্যামসগার্ডের দারুণ ফ্রি কিক থামাতে পারেননি পিকফোর্ড। ৩৮ মিনিটে স্‌টারলিংকে রুখে দেন শুমেইখেল। পরের মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে ঠেকাতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন ডেনিশ অধিনায়ক সিমন কায়ের।

বিরতির পর দু’দলই সমান তালে খেলতে থাকে। ইংল্যান্ড বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও জালের দেখা পায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন কেইন। আসরের চতুর্থ গোলে ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকারের ১০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তার স্পট কিক রুখে দিয়েছিলেন ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাসমার শ্মাইকেল। কিন্তু ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.