
দেশে বর্তমানে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমির (সিকস্তি) পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৭১ দশমিক ৯৫ একর। সবচেয়ে বেশি সিকস্তি জমি চট্টগ্রাম বিভাগে আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিকস্তি জমির খাজনা আদায়ের সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বগুড়া-৫ আসনের হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বিভাগভিত্তিক সিকস্তি জমির মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৯ হাজার ১৪২ দশমিক ৯৮ একর, চট্টগ্রামে এক লাখ ৭৩ হাজার ১৬২ দশমিক ৯৩ একর, খুলনায় ৩০ হাজার ৬৭১ দশমিক ১৫ একর, রাজশাহীতে ৯৭ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৮৪ একর, রংপুরে ১৫ হাজার ৪৮ দশমিক ৭৮ একর, সিলেটে ৩১ দশমিক শূণ্য ৭ একর, ময়মনসিংহে চার হাজার ৯৬৭ দশমিক ৪৪ একর, বরিশালে এক লাখ ৪৪ হাজার ২৮৩ দশমিক ৭৭ একর জমি রয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানান, সামাজিক বনায়নের আওতায় এ পর্যন্ত এক লাখ ৫১১ দশমিক ৭৮ হেক্টর উডলট ও ব্লক বাগান এবং ৭৪ হাজার ৭৬৫ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে গত ১০ বছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৬৯১ জন ব্যক্তি লাভবান হয়েছেন।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বনের পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর। যা মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে বৃক্ষআচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
Leave a Reply