
ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন রমরমা ব্যবসা চললেও এ ব্যাপারে তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
বৃহস্পতিরার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের, বাগুয়ারচর, বলদমারা, বাইশপাড়া, ফলুয়ারচর, পশ্চিম পাখিউড়া, কর্তিমারী, ধনারচর, জিঞ্জিরাম নদীর বকবান্ধা, বকবান্ধা নামাপাড়, বারবান্ধা, খেওয়ারচর ও সোনাভরি নদীতে হাজিরহাট, মিয়ারচর হলহলিয়া নদীর চরগয়টাপাড়, গয়টাপাড়া, কলমেরচর এলাকায় সারিবদ্ধভাবে প্রায় ৩০টি ড্রেজার মেশিন নদীতে বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী বালু উত্তোলনকারীরা। এতে উপজেলার অনেক নদীতে অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী ঐসব গ্রামে রয়েছে ভাঙনের হুমকির মুখে।
বাগুয়ারচ গ্রামের সাইজুদ্দিন, সোরহাব আলী, মজিবর রহমান বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। আমরা অসহায় মানুষ, আমাদের কথা কে শোনে।
বদলমারা গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী হেলাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মনির হোসেন বলেন, অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধের জন্য রৌমারী উপজেলা ভূমি কমিশনার, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট মোবাইল ফোনে দফায় দফায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
রৌমারী উপজেলা কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করা চেষ্টা করছি। আগামী সাপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে যাবো, অবৈধ ড্রেজার বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের পরিদর্শন গিয়ে কয়েকটি ড্রেজার মেশিনের কিছু মালামাল জব্দ করেছি। ইতোমধ্যে অবৈধ ড্রেজার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply