ফের লকডাউন ঘোষণা হতে পারে

লকডাউন

সারা দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে গেলে আবারও লকডাউন ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত করোনা বুলেটিনে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, সারা দেশে আপাতত লকডাউন নয়। তবে পরিস্থিতি যদি নাজুক হয় এবং প্রতিটি জেলায় যদি সংক্রমণ ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়, তাহলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে রাজধানীর আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। প্রয়োজনে লকডাউন এলাকা বাড়ানো হবে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এমতাবস্থায় সারা দেশে আবারও সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হবে কিনা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, আমরা আপাতত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখছি। যদি সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি এবং ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয়, তাহলে শুরুতে ঢাকায় লকডাউনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কোনো গণপরিবহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।

এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৭ জনের। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন।

২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৫৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৫ হাজার ৭৫টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৩৬ জন খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ১৯, চট্টগ্রামে ৭, রাজশাহীতে ১৮, বরিশালে ১ রংপুরে ১ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ এবং ৩০ জন নারী। এদের মধ্যে ১০ জন বাসায় মারা গেছেন এবং ১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৩ হাজার ৭৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৮৬৫ জন এবং নারী ৩ হাজার ৯২২ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৮, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১১ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১০ জন রয়েছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.