
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে দেশের ২ বিভাগে অবস্থিত রাজশাহী মেডিকেল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
শনিবার সকালে পৃথক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার ও রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন- খুলনার রূপসার আবুল হোসেন (৬০), নগরীর লবণচরা এলাকার শাহজাহান (৪৯), যশোরের কেশবপুরের মিজানুর রহমান (৫৮), কেশবপুরের আলেয়া (৬০), সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবদুল (৫১), কলারোয়ার আব্বাস গাজী (৬২), কালীগঞ্জের শেখ আইয়ুব আলী (৫৮) এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিনারা বেগম (৫৫)। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৮.১৭ শতাংশ।
এদিকে, রামেক হাসপাতাল সূত্র জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন দুজন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ১, ১৬, ২২, ২৫, ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ড এবং কেবিনে।
এই একদিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন তিনজন। এই তিনজনই করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলার বাসিন্দা।
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এদের মধ্যে চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং দুজন রাজশাহীর বাসিন্দা। করোনা মুক্ত হয়ে মারা যাওয়া একমাত্র রোগীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৬৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
Leave a Reply