ভোজ্যতেলের দাম আপাতত কমবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভোজ্যতেলের দাম আপাতত কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রতি সপ্তাহে গ্লোবাল মার্কেট ও বিশ্ববাজার মনিটরিং করা হয় তেলের বাজারটার কী অবস্থা হয়। সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে দাম তেলের। বিশ্ববাজারে দাম না কমলে ভোজ্যতেলের দাম কমানো কঠিন হবে। গ্লোবাল মার্কেটে কমলে দাম কমবে। তবে করোনাকালে জাহাজের ভাড়াও বেড়ে গেছে। যার ফলে যারা নিয়ে আসছে সেখানেও একটা প্রভাব পড়ছে।

গত ২৯ মে শনিবার থেকে বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। দাম বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
জানা গেছে, মে মাসের মাঝামাঝিতেও তেলের দাম বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা লিটার নির্ধারণ হয়। এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে মোট পাঁচ দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়। ৩০ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা (৩৩ শতাংশ) বেড়েছে। ওই সময় প্রতি লিটার তেল ১১৫ টাকায় বিক্রি হতো।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়শেন জানিয়েছে, তেলের নতুন দাম শনিবার (২৯ মে) থেকে কার্যকর। এ দাম এমন সময় বাড়ানো হলো যখন মানুষ মহামারীর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

নতুন মূল্যতালিকা অনুসারে, আগের দাম ৬৮৫ টাকা থেকে ৪৩ টাকা বেড়ে পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এখন ৭২৮ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১২৯ টাকায়। আগে এ তেলের দাম ছিল ১২২ টাকা লিটার। তবে, খোলা পাম অয়েলের দাম ১১৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১১২ টাকা লিটার করা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রায় ১১৫ টাকায় এবং প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল প্রায় ১১০ টাকায় বিক্রি হতো। এর আগের মাসে লিটার প্রতি তেলের দাম আরও ১০ থেকে ১৫ টাকা কম ছিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.