
আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানীর ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণাচক্রের মূলহোতা বিজ্ঞনী সাইফুল ওরফে সায়েন্টিস্ট সাইফুলসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ঢাকা ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন— প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে বিজ্ঞানী সাইফুল ওরফে সায়েন্টিস্ট সাইফুল (৫৪) ও তার স্ত্রী মোছা. বকুলি ইয়াসমিন (৪৬), মো. ইমরান রাজা (২৫), মোছা. কাকুলী আক্তার (১৯), মো. রোমান বাদশা (১৮), মো. আনিসুজ্জামান সিদ্দীকী (৫৩), মো. নাজমুল হক (৩০), মো. তারেক আজিজ (৪০), মো. বেল্লাল হোসেন (৬১), মো. আব্দুল মান্নান (৫০), মো. শিমুল মিয়া (২৪), মো. নুরনবী (৪৫), মো. আবুল হাশেম (৪২), মো. আলী হোসেন (৩৮), মো. শওকত আলী (৫০) ও মো. রোকনুজ্জামান (৫০)।
বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও প্রতিকার বিশ্বব্যাপী একটি বহুল আলোচিত বিষয়। এই তথ্য পুঁজি করে চক্রটি ভুয়া বিজ্ঞানী পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে। ভুয়া বিজ্ঞানী পরিচয়ে জ্বালানীবিহীন জেনারেটর তৈরি ও পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর গবেষণা এবং প্রভাব প্রতিকার প্রজেক্ট, করোনাকে পুঁজি করে করোনা প্রতিরোধক কয়েল উদ্ভাবনসহ অন্যান্য অভিনব আবিষ্কারের ভুয়া প্রজেক্ট বাস্তবায়নের নামে প্রতারণা করে। চক্রটি দেশি-বিদেশি সংস্থা ও নেতাদের সহায়তা ও ফান্ড প্রাপ্তির কথা বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম ‘রাজা-বাদশা গ্রুপ’ নামে একটি ভুয়া সংগঠন তৈরি করে ২০১১ সাল থেকে প্রতারণা শুরু করেন। তিনি নিজেকে রাজা-বাদশা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলে পরিচয় দেন। এই চক্রের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভুয়া বিজ্ঞানী সাইফুলের স্ত্রী বকুলী ইয়াসমিন, ছেলে মো. ইমরান রাজা ও মো. রোমান বাদশা ও পুত্রবধূ মোছা. কাকুলী আক্তার ভুয়া সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।”
অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গোলাবারুদ, দুই বোতল বিদেশি মদ, ছয়টি সিল, নগদ ৪৫ হাজার ৪৬০ টাকা, ২০টি মোবাইল ফোন, ১৪টি চেকবই, ১২টি ভিজিটিং কার্ড, ছয়টি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চিঠি, বিভিন্ন মূল্যের ১২১টি জাল স্ট্যাম্প, তিনটি চুক্তিনামা দলিল, তিনটি বই ও ৯টি স্বাক্ষরিত চেক ও বিদেশি নেতাদের সঙ্গে পত্রালাপের ভুয়া কপি উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply