
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে আইসিউয়ে শয্যা সংখ্যা কম থাকায় সব রোগী ভর্তি করানো যাচ্ছে না।
গত ১২ দিনে এ ইউনিটে ২৮ রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে মারা গেছে ১৪ জন, সুস্থ হয়েছে দুজন। প্রতিদিনই আসছে রোগী, কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী শয্যা সংখ্যা না থাকায় ভর্তি নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
এ হাসপাতালে আইসিইউয়ে ১৬ শয্যা থাকলেও সচল রয়েছে ১৪টি।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক ব্যক্তি। আর নতুন শনাক্ত হয়েছে ২২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মহামারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০৯০৯, মারা গেছে ১৮৮ ব্যক্তি।
তিনি বলেন, শতকরা হারে করোনা পরীক্ষায় পজেটিভের হার ২০ দশমিক ৮০, মৃত্যুর হার ১.৭২ এবং সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৬।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউয়ে ইনর্চাজ ডা. অনন্ত বিশ্বাস জানান, করোনা পরিস্থিতি গত দুই সপ্তাহ ধরে অবনতির দিকে রোগীর চাপ বাড়ছে অনেক, কিছু দিন আগেও ওয়ার্ডে রোগী ছিল তিন/চারজন, এখন সেখানে সিট ফাঁকা নেই।
তিনি বলেন, করোনার এ দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধরন আগের থেকে ভিন্ন। কারণ এখন আইসিইউয়ে ভর্তি হয়ে সুস্থতার হার কম। মারা যাচ্ছে বেশি এবং তাও আবার দ্রুত।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে দেখা যায়, গত ১ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ব্যক্তির মৃত্য হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১ জনই পঞ্চাশার্ধ।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত ১২ দিনে আইসিইউয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন, আমুদ আলী (৩৬) পুকুরিয়া, ভাঙ্গা, শহিদুল রহমান (৭০) কালুখালি রাজবাড়ী, রহিমা বেগম (৬৩), বেলজানি, বোয়ালমারী, মোসলেমউদ্দিন (৬৫), ঝিলটুলি, ফরিদপুর সদর, মনোয়ারা বেগম (৪৫) মাদারিপুর, এমএ মামুন (৫৫) ঝিলটুলি, ফরিদপুর সদর, খাদেজা বেগম (৭৫) গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী, রফিকুল ইসলাম (৫০), কালুখালী, রাজবাড়ী, আবুল হোসেন (৬০) ভবানিপুর, রাজবাড়ী, লাল মিয়া (৯৫), কানাইপুর, ফরিদপুর, নূরুল হক (৯৫) মাদারিপুর, দূর্গা রানী (৭০), মকসুদপুর, গোপালগঞ্জ, অঞ্জনা রানী (৩৮) সালথা, ফরিদপুর, ইউসুফ (৭০) মৌলভির চর , চরভ্রদাসন, ফরিদপুর।
Leave a Reply