
কিছুদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত ৪১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৮ এপ্রিল আড়াই হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। এদিকে শনাক্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি পরীক্ষা অনুপাতে বেড়েছে শনাক্তের হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে গড় শনাক্তের হার ছিল ১৩ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা সীমান্ত এলাকার কোনো কোনো জেলায় এই হার ছিল ৬০ শতাংশের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশ বা অঞ্চলে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। কিন্তু দেশে গত মার্চের পর থেকে এই হার ৫ শতাংশের নিচে নামেনি কখনো। উল্টো করোনার ভারতীয় ধরন (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ হারেও উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। গত বছর ডিসেম্বরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর ভারতেও ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই শনাক্তের হার কম ছিল। মাসটির শুরুতে সেখানে এ হার নেমেছিল ২ শতাংশের নিচে। তবে এর দেড় মাসের মাথায় মার্চের মাঝামাঝি থেকে ফের বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। এরও দেড় মাস পর মে মাসের শুরুতে দেশটিতে এ হার ২০ শতাংশে পৌঁছায়। ভারতের মতো দেশেও এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগটা একটু বেশিই। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী দেড় মাসের মধ্যে বাংলাদেশকেও ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশটির হালনাগাদ ভ্রমণ সুপারিশে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। ভ্রমণ সুপারিশে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ভ্রমণ পরিহার করুন। তারপরও বাংলাদেশে যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত ছিল। সারা দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও কয়েকটি অঞ্চলে তা আগের দিনের চেয়ে বেশি। রাজশাহী, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, নওগাঁ, দিনাজপুরে শনাক্তের হার বেড়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ এলাকায় ৫০ শতাংশের বেশি ছিল শনাক্তের হার। এসব অঞ্চলে গতকাল মৃত্যুও ছিল কিছুটা বেশি। মৃতদের মধ্যে ৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ১০ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ৪ জন রংপুর বিভাগের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। তার আগে মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। তবে গত মাসের মাঝামাঝিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ‘লকডাউন’ ঢিলেঢালা হয়ে পড়ে। ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা ও যাতায়াতে বিপুল লোকসমাগম দেখে জনস্বাস্থ্যবিদরা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশঙ্কা করেছিল, ঈদের পর সংক্রমণ আবার বেড়ে যাবে। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করতেই যেন ভারত সীমান্তবর্তী ১৫টি জেলায় রোগী দ্রুত বাড়ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওইসব জেলার বেশিরভাগ অঞ্চলকেই ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু ওইসব এলাকার বাজার বা ধর্মীয় উপাসনালায়গুলোতে লোকসমাগম কমানো যাচ্ছে না। আটকানো যাচ্ছে না মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীদেরও। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সীমান্তে অবৈধ যাতায়াতও বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারপরও গত দুদিনে নাটোর, কুষ্টিয়া, যশোরসহ আরও কয়েকটি জেলায় দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক ‘লকডাউন’। পাশাপাশি ওইসব এলাকায় বাড়ানো হয়েছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা।
শুরুতে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেটে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন সবচেয়ে বেশি এ পরীক্ষা করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী যে জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার খুব বেশি সেখানে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সিলেটসহ দক্ষিণ-পশ্চিম ও সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি সেসব এলাকায় এটি বেশি করা হচ্ছে।
ডা. আলমগীর বলেন, ‘যেসব জায়গায় সংক্রমণের হার বেশি সেখানে মূলত স্ক্রিনিংয়ের জন্য পাড়ায় পাড়ায় বা বাড়িতে গিয়ে এ পরীক্ষাটি করা হয়। ভাইরাস শনাক্ত হলে তাকে আর পিসিআর পরীক্ষা করার কথা বলা হয় না। কিন্তু উপসর্গ থাকার পরও যদি ভাইরাস শনাক্ত না হয় তখন অধিকতর পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হয়। যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ অনেক বেশি, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আশা মানুষের সংখ্যা বেশি তাদের এসব পরীক্ষা করা হয়।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ভাইরোলজিস্ট ডা. সাবেরা গুলনাহার এ বিষয়ে বলেন, ‘এ পরীক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল দিতে পারে। ২০ মিনিটের মধ্যে এর ফল পাওয়া যায়। দ্রুত শনাক্ত মানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
সাবেরা গুলনাহার ও ডা. আলমগীরের মতে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হলে অ্যান্টিজেন ছাড়া উপায় নেই। আর সংক্রমণের গতি কমাতে বাড়তি পরীক্ষারও কোনো বিকল্প নেই।
সারা দেশের করোনা পরিস্থিতি
খুলনায় ৯ মৃত্যু, শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ : খুলনা বিভাগে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর সঙ্গে বাড়ছে করোনাভাইরাসে শনাক্ত এবং আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়জনে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয় এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ‘বুধবার সকাল পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয় এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।’
খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৩৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। খুলনায় নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ।
বাগেরহাটে ৪ মৃত্যু, মোংলায় শনাক্ত হার ৬৮ শতাংশ : বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন এবং রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনের মৃত্যু হয়।
বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয় ১৫৫টি। বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের হার ৪৩ শতাংশ। জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মোংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ৬৮ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
যশোরের শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ, মৃত্যু ২ : যশোরে করোনা শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে ১৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এ অবস্থায় বুধবার মধ্যরাত থেকে যশোরের সদর ও অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভায় লকডাউনের আদলে ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ২৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ।
রামেকে আরও ৮ মৃত্যু : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, চারজন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মারা যান। বাকিরা মারা যান নমুনা পরীক্ষার আগে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
গত ১ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। এর মধ্যে ৪৯ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
ঝিনাইদহে শনাক্ত হার ২৭ দশমিক ৪১ ভাগ : ঝিনাইদহে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪১ ভাগ। যা আগের দিন ছিল ২৪ দশমিক ৪৫ ভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, গতকাল সকালে খুলনা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ ল্যাব থেকে আসা করোনার ফলাফলে এসেছে। সেখানে ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১০ জন। ঝিনাইদহ জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি।
নওগাঁয় বাড়ছে না বিশেষ ‘লকডাউনের’ মেয়াদ : নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে বিশেষ ‘লকডাউন’ শিথিল করে জেলার ১১টি উপজেলায় ১৬ জুন পর্যন্ত ১৬টি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদ। তিনি জানান, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিং মল ও মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের স্টল বন্ধ থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো শুধু পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ভারত সীমান্তের সাপ্তাহিক হাটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বিধিনিষেধে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীর সঙ্গে সব যাতায়াতের পথ বন্ধ থাকবে।
নাটোরে কঠোর ‘লকডাউন’ : নাটোরের দুটি পৌরসভার সর্বাত্মক ‘লকডাউনের’ প্রথম দিন কঠোরভাবে চলছে। কাঁচা পণ্য, ওষুধ ও মুদিখানা দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম। সন্দেহজনক লোকজনকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এবং ৯টার দিকে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোর হাসপাতালে শহরের আলাইপুর এলাকার রমজান আলী নামে এক বৃদ্ধের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ।
দেশের করোনার এ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী বলেছেন, ‘স্থিরভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। জায়গায় জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো যেহেতু টিকা নিশ্চিত করা যায়নি সেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলে মাস্ক পরার বিষয়টি অন্তত নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সংক্রমণ রোধে কোনো উপায় নেই।’
Leave a Reply